১৯ এপ্রিল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী নিপুণ। বিজয়ী সভাপতি মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে ফলাফল ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিপুণ ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। তারা দুজনও নিজেদের গলার মালা খুলে নিপুণকে পরিয়ে দিয়েছেন। শুধু এমন সৌহার্দ্য নয়, নিপুণের এই গণতান্ত্রিক মনোভাবে সবাই যেমন চমকিত হয়েছেন তেমনি হয়েছেন অভিভূত। সদ্য সাবেক হওয়া সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনও শিল্পী সমিতির তারকাবহুল এই নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর থেকে নিপুণকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। নিপুণ এতো সহজে পরাজয় মেনে নিলেন কেন বা নিপুণ কি সত্যিই পরাজিত হয়েছেন। সকলে হিসাব করছেন নেপথ্যের স্বার্থসেবা কোন প্যানেলের কতোটা কাজে এসেছে। কারণ এই হিসাবের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর বীজ। যে ৪১টি ব্যালট বাতিল হয়েছে তাতে নিপুণের ভোট রয়েছে ২৬টি। তাতে ডিপজলের কয়টি ভোট আছে তার হিসাব পাওয়া যায়নি। তারপরও বাকি ১৫টি ভোট ডিপজলের ধরা হলেও ভোটের ব্যবধান থাকে মাত্র ৫টি। এটাকে ডিপজলের মতো প্রভাবশালী ও খ্যাতিমান ব্যক্তির কাছে নিপুণের হার বলা যায় না। একটি সূত্র বলেছে, নিপুণ হারবেন জেনেও তার সহকর্মী প্রার্থীদের মনোবল অটুট রাখার জন্য সাহস ও লড়াকু মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেছেন। আর নিপুণ এখানেই অনন্য।
এছাড়া কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, নিপুণ তার কমিটির সকলকে ধরে রাখতে পারলেন না কেন। তার কমিটির যারা অন্য প্যানেলে গিয়ে নির্বাচন করেছেন, তারা নিপুণের দুর্নামই করেছেন। কেউ বলেছেন, নিপুণ তাদের কাজ করতে দেননি। কেউ বলেছেন, নিপুণ তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন ইত্যাদি। প্রকৃতার্থে ভালোমন্দ মিলিয়েই একজন মানুষ। নিপুণের নেতিবাচক দিক নেই এমনটা নয়। কিন্তু সেই নেতিবাচক দিক তিনি কিভাবে ব্যবহার করেছেন সেটাই দেখার এবং বুঝার বিষয়। ভবিষ্যতে নিপুণ যদি আবারও নেতৃত্বে আসতে চান, তাহলে তাকে সেসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর, আগের কমিটির বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুণ কিভাবে তার প্যানেলের প্রার্থী হলেন। অভিনেত্রী হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আগে কখনো শোনা যায়নি। এছাড়া জেসমিন আক্তারও ছিল নিপুণের জন্য ভোটারদের কাছে একটি নেতিবাচক ইস্যু। সব মিলিয়ে নিপুণ শিবিরে একটা অস্বত্বিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপরও নিপুণের যে অগ্রগতি তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এই খবরটি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন