সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বরেণ্য অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হবে গ্রামের বাড়ি পাবনায়। সেখানে জানাজা শেষে দাফন হবে মঙ্গলবারই।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ডিরেক্টরস গিল্ডের সম্মানিত সিনিয়র সহ-সভাপতি সদ্যপ্রয়াত মাসুম আজিজের মরদেহ আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুম আজিজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। অভিনেতার শ্যালক ওয়াকিব বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বিকেল ৩টার দিকে মারা যান মাসুম আজিজ।
এদিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসও এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান। তিনি লিখেছেন, মাসুম ভাই আর নেই। মাসুম আজিজ অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিনয়ের জন্য মঞ্চ, টেলিভিশন আর সিনেমায় খ্যাতি রয়েছে মাসুম আজিজের। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত তিনি। প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন ১৯৮৫ সালে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে চার শতাধিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তার। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। শিল্পকলার অভিনয় শাখায় তার অবদানের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।