পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মহাসচিব এ.বি.এম সিরাজুল মামুন।পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহর দু’টি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর একটি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক ঘোষিত পুরস্কারের প্রত্যাশায় এই ঈদ অনেক বেশি মহিমান্বিত ও আনন্দঘন। সিয়াম সাধনার পাশাপাশি জাকাত ও ফিতরা আদায় শেষে পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত হয়ে অনাবিল আনন্দ লাভ এই ঈদের বিশেষ সওগাত।
এবারের ঈদ গত দুই বছরের ঈদের চেয়ে অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে উদযাপিত হতে যাচ্ছে। গত দুই বছর করোনা ও লকডাউনের কারণে মানুষ স্বাভাবিকভাবে ঈদ পালন করতে পারেনি। অনেকটা ঘরবন্দী ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে। এবার সেই পরিস্থিতি নেই। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরমুখো হয়েছে। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করা আমাদের দেশে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। সারাবছর দেখা না হলেও অন্তত ঈদ উপলক্ষে অনেকের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। আত্মীয়স্বজনদের সাথে সময় কাটানো যায়। এক পারিবারিক ও সামাজিক মেলবন্ধনের সৃষ্টি হয়। এ এক অপূর্ব সম্মিলনের সময়। অন্য যেকোনো আনন্দ-উৎসব ও ঈদের আনন্দ-উৎসবের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। কেবল আনন্দ-উল্লাস নয়, ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহপাকের অনুগ্রহ, ক্ষমা ও সন্তুষ্টিলাভ এবং মানব কল্যাণের সুযোগ রয়েছে এর মধ্যে। কঠোর সিয়াম সাধনা, সংযম, দান-খয়রাত, পরার্থপরতা, ত্যাগ ও সার্বজনীন কল্যাণে আত্মনিবেদনের সমন্বয়ে ঈদ উৎসব অনেক বেশি বাস্তবিক শুভময়তা এবং পারলৌকিক মুক্তির প্রত্যাশায় ঋদ্ধ। মুসলমানদের মধ্যে ধনী-দরিদ্র, অবস্থানগত পার্থক্য ও উঁচু-নিচুর ভেদাভেদের কোনো সুযোগ নেই। ঈদের নামাজে সব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে শামিল হয় মুসলমানেরা।
মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদে পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরের শিক্ষাও তাই। মানুষের মধ্যে ইসলামের অহিংসা, ক্ষমা, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা জাগরিত হোক। সকল মানবিক দুর্বিপাক, কষ্ট ও যাতনার অবসান হোক, সবার মধ্যে প্রকৃত ধর্মবোধ ও মূল্যবোধ, প্রীতি, সহানুভূতি সংহত হোক, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে এটাই আমাদের আন্তরিক কামনা। ঈদ আনন্দময় হোক, এই প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গে আমরা শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।