মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া বলেছেন, ভাষা মানুষের পরিচয়। এ পরিচয় মানুষকে সম্মানিত করে। আমরা রক্ত দিয়ে সেই সম্মান অর্জন করেছি। এটা আমাদের গৌরবময় অর্জন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫২ বাঙালির গৌরবময় ঐতিহাসিক দলিলে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো কালে কালে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন আমাদের মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীনতা। পৃথিবীতে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার্থে বাঙালি জাতিই প্রথম বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। তাই ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় মুক্তির এক অনন্য সোপান। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় মানব কল্যাণ পরিষদ অফিসে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আলোচনা সভায় মানব কল্যাণ পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন অফিসিয়াল ইমেজ মেম্বার ফাহমিদা হক ইলা, ইসমিতা ইলমা, বিউটিশিয়ান সুবর্না সিরাজ, ফারজানা আক্তার বৃষ্টি ও সুমাইয়া আক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন বিউটিশিয়ান ইনসানা ঈশা, বিপাশা আক্তার, ঝর্না আক্তার, উম্মে আসমী, জান্নাতুল ফেরদৌস, খাদিজা খানম, সায়েবা জামানসহ অন্যান্য।
আলোচকরা বলেন, বাঙালি জাতির জাতীয় জীবনে চিরভাস্বর একটি দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। দিনটি বাঙালি জাতিকে বিশ্বের কাছে এক নতুন মর্যাদা দান করেছে। এ দিন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিদর্শন স্থাপন করে গেছেন ভাষা সৈনিকরা।