চলতি মাসের শুরু থেকে ভারতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। গত তিন দিন ধরে দৈনিক করোনা সংক্রমণ দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুও লাফিয়ে বাড়ছে।
ভারতে করোনা এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৪৯ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ। করোনার সংক্রমণ রোধে কখনও লকডাউন, আবার কখনও কারফিউয়ের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ভারত সরকারকে।
তবে এর মাঝেও বহাল তবিয়তে চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলা। গত ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এরই মধ্যে চেন্নাই ও মুম্বাইয়ের মাঠে গড়িয়েছে টুর্নামেন্টের ৮টি ম্যাচ। করোনা সতর্কতার কথা মাথায় রেখে এবার শুধু ছয়টি ভেন্যুতে খেলা রেখেছে আয়োজকরা।
যার মধ্যে অন্যতম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের মোতেরায় অবস্থিত নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত আইপিএলের প্রথম পর্বের ৮টি ম্যাচ হবে আহমেদাবাদে। পরে প্লে-অফ পর্বের ম্যাচ চারটিও হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামটি। বায়ো সিকিউর বাবল তৈরির জন্য প্রথম ম্যাচের ১৪ দিন আগেই জনসাধারণের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মাঠটি। এখন শুধুমাত্র মাঠকর্মীরা বাদে কেউই স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে আসতে পারবেন না।
শুধু তাই নয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে মাঠের কর্মী ও কর্মকর্তার সংখ্যাও এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে এনেছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জিসিএ) কর্মকর্তা, সংগঠক, কারিগরি ও মাঠকর্মী মিলিয়ে শুধুমাত্র ৬০ জনকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জিসিএ’র যুগ্ম সম্পাদক অনিল প্যাটেল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টকে বলেছেন, ‘চলতি সপ্তাহের শুরুতে (ভারতে সপ্তাহের শুরু হয় সোমবার থেকে) স্টেডিয়ামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এখন এক-তৃতীয়াংশ কর্মী দিয়ে সব কাজ পরিচালনা করছি। মাঠের চারটি প্রবেশদ্বারের মধ্যে মাত্র একটি খোলা রাখা হয়েছে।’
আগামী ২৬ এপ্রিল আহমেদাবাদের এই স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস। এছাড়া দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচও রয়েছে এই মাঠে।