সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বার্মাস্টান্ড এলাকায় গোদনাইল পদ্মা ডিপোর ট্যাংকলরী শ্রমিকরা এবার জ্বালানী ভেজাল তেলের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে। জ্বালানী তেল পেট্রোল ও অকটেন দীর্ঘদিন যাবৎ ভেজাল মিশ্রিত হলে ট্যাংকলরী শ্রমিকরা বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
৯ মে রবিবার সকাল ৮ টায় প্রায় অর্ধ শতাধিক ট্যাংকলরীর শ্রমিকরা ডিপো গেটের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুরো ডিপো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের পদ্মা ডিপোর গোদনাইল শাখার সেক্রেটারী ফারুক হোসেন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি শ্রমিকদের আশস্ত করে পরিবেশ শান্ত করে প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে আন্দোলনের ইতি টানেন।
এ প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন বলেন, পেট্রোল ও অকটেন জ্বালানী তেলের মধ্যে যে ভেজালের বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখছি। তবে ভেজাল তেলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আরো জানাযায়, বিভিন্ন প্রাইভেট রিফাইনারীর ট্যাংকলরী ঠিকাদার ও গোদনাইল পদ্মা ডিপোর অসাধু কর্মকর্তাদের যৌথ যোগসাজেসে চলছে পেট্রোল ও অকটেনের হরিলুট। ভেজাল তেলের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে ট্যাংকলরী শ্রমিকরা। ক্যারিং কন্ট্রাকটর ও গোদনাইল পদ্মা ডিপোর কর্মকর্তারা মিলে অকটেন ও পেট্রোলের পরিবর্তে প্রাইভেট রিফাইনারী থেকে সলভেন্ট ও কনডেন্সসিট তেল মিশ্রন করে ডিপোতে পেট্রোল ও অকটেন হিসেবে সরবরাহ করছে।
যার ফলে, বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প মালিকরা অভিযোগ করছে, তারা পদ্মা গোদনাইল ডিপো থেকে পেট্রোল ও অকটেনের পরিবর্তে যেন বাতাস কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই তেল বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে গেলে পরিমাপে প্রায় ১০০-২০০ লিটার তেল কম পাওয়া যাচ্ছে। বাতাসের কারণে জ্বালানী তেল উড়ে যাচ্ছে, যার ফলে পেট্রোল পাম্পের মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার দরুন ট্যাংকলরীর চালকরা পেট্রোল পাম্পের মালিকদের কাছে নানা প্রশ্নের সম্মুখিন সহ নানাভাবে হয়রানি হচ্ছে এবং তাদের পারিশ্রমিক থেকে টাকা কর্তন করা হচ্ছে। যার কারণে অনেক শ্রমিকরা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভালো নেই।
এই প্রসঙ্গে পদ্মা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক মোঃ শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন, ভেজাল তেলের বিরুদ্ধে কে বা কারা আন্দোলন করেছে তা আমার জানা নেই। আমি এক সপ্তাহের ছুটিতে আছি। বর্তমানে আরেক সহকারী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বর্তমানে ডিপোর ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব রয়েছে বলে ব্যবস্থাপক শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন।
অন্যদিকে বর্তমান এ লকডাউনের মধ্যে যেখানে সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেখানে তিনি কিভাবে ছুটি কাটান এ বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে ডিপোর সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যাংকলরী শ্রমিকরা জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।