1. themescell@gmail.com : admi2018 :
২১ নভেম্বর, ২০২৪, দুপুর ১:৪৩
সংবাদ শিরোনাম :

নদী দূষণ ও দখল নিয়ে নাগরিক ভাবনার আয়োজন করলো পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি

M A Mannan
  • আপডেট : জানুয়ারি, ২২, ২০২৪, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
  • 169 বার দেখা হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার:  নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২১ জানুয়ারি বিকেলে নদী দূষণ ও দখল নিয়ে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি।
শীতলক্ষা নদী সহ বিভিন্ন নদী দূষণ মুক্ত করে নারায়ণগঞ্জ কে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান  মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নাগরিক ভাবনায় উম্মুক্ত আলোচনা করেন মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া, এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ সভাপতি এম এ মুহিন, সাধারণ পাঠাগারের সেক্রেটারি নাজমুল হাসান রুমি, পরিবেশ গবেষক খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজনৈতিক নেতা ও পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খোকন, নদী খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম ঢালী, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, নারী উদ্যোক্তা বুবলী আক্তার, ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার প্রজেক্টের জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী রাকিবুল ইসলাম ইফতি সহ পরিবেশ আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবী মোঃ আলী, ফজলুল হক ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, মোঃ সিরাজ ও গণমাধ্যম কর্মী মোক্তার হোসেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাঙালির সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে নদীকেই কেন্দ্র করে। মিশরকে নীল নদের দান বলা হয়; তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশকে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদ-নদীর দান বলা যায়। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অভিন্ন ৫৭টি নদী। নদী বিধৌত এ’দেশে ছোট-বড় মোট ২৩০টি নদী আছে আর শাখা-প্রশাখাসহ নদীর সংখ্যা প্রায় ৮০০টি। এ নদীগুলো সারাদেশে রক্তের শিরা-উপশিরার মতো বহমান। মেঘনা ব্রহ্মপুত্র শীতলক্ষ্যা ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গা আর বালু নদী পরিবেষ্টিত  নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই নদীগুলো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশের বিচিত্র অনুষঙ্গ। আমাদের দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক রয়েছে নদীর সাথে। খরস্রোতা নদীগুলোতে জেলেরা মাছ ধরত, নৌকাবাইচ হতো, উৎসবের আমেজে মেতে উঠত নদীর পাড়ের মানুষগুলো। কৃষি, মৎস্য, জেলেদের পেশা এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি মানুষের নিত্যদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছুর একমাত্র উৎস ছিল এই নদীগুলো।
বাংলাদেশের নদীগুলো মিঠা পানির প্রধান উৎস্য এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু আমাদের দায়িত্বহীনতায় নদীগুলো দখল ও দূষণের শিকার। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলছি।  কিন্তু সেই নদী আজ দখল, দূষণ আর ভরাটের প্রতিযোগিতায় বিপন্ন; অনেকাংশে বিলুপ্ত। নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর নানাবিধ কারণের মধ্যে অবৈধ দখলদারিত্ব, অপরিকল্পিত নদীশাসন, দূষণ, ভরাট, অপরিকল্পিত ড্রেজিং, ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম। সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠছে বড় বড় কলকারখানা, শত শত বাঁধ। দূষণ-দখলের কবল থেকে কিছুতেই  বাঁচানো যাচ্ছে না ব্রহ্মপুত্র মেঘনা আর শীতলক্ষ্যা নদীকে।  প্রতিদিনই বাড়ছে দূষণ; বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যাও। প্রভাবশালীরা
নদী ভরাট করে দখলের উৎসবে মেতেছে।
খাল, নদ-নদী, নর্দমা হয়ে অপরিশোধিত অবস্থায় নদীগুলোতে জমা হচ্ছে। নদীগুলোকে গিলে খাচ্ছে পলিথিনসহ শিল্প-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য, হাসপাতাল-ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কেমিক্যাল, লঞ্চ-জাহাজের পোড়া তেল, মবিল, ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য ও নদীর পাড়ে। মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে বহু আগে। জীব বৈচিত্রও নেই। এ নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়। আদালতের রায় অনুযায়ী নদীগুলো এখন ‘জুরিসটিক পারসন’ বা ‘লিগ্যাল পারসন’। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মতো নদীরও মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা।
আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব নদীই মূল্যবান এবং সংবিধান, বিধিবদ্ধ আইন ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ দ্বারা সংরক্ষিত।বাংলাদেশকে ‘নদীমাতৃক’ বলা হয়। নদী মায়ের মতো; নদী মা হিসেবে স্বীকৃত। নদী দূষনও মাকে হত্যা করার সামিল।
এই নদী দূষণ ও দখলে জারা জড়িত তাদের সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ সকল অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান নদী দূষণে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেগুলো প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের জন্য উন্নয়ন। নদী দখল দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ কোটি মানুষের জীবনের হুমকি।তাই উন্নয়নের নামে অসাধু ও শিল্প প্রতিষ্ঠান অপ্রয়োজনীয় বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। যারা নদী দখল করে নদীর নাব্যতা ভিন্ন করছে তাদের কেউ শাস্তির আওতায় আনার জন্য উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি জানান। পরিশেষে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করলে নদীপাড়ের লাখো মানুষের সমন্বয়ে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এই খবরটি আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন
No Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো খবর

ব্যাচ ৯৭ নারায়ণগঞ্জের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন খেলোয়ারদের অভিনন্দন

নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিস পরিদর্শনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজামূল কবীর 

মার্জিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্লাস পার্টি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ওয়়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময়
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ওয়়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময়

আকিফের স্মরণে খেলাফত মজলিসের দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সেবীদের উৎপাত: আতঙ্কিত অভিভাবক মহল

ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন বরণে সাজবেন যেভাবে

সাবেক বিচারপতির মেয়ে ও নায়িকার মা ভিক্ষা করছেন ঢাকার পথে পথে

মানব কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে গরীবদের চিকিৎসা সহায়তা বিতরণ

ঢাকা কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দোশে ছেরে আসা ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলীত হয়

পেট্রোল ও অকটেনে ভেজাল তেলের বিরুদ্ধে গোদনাইল পদ্মা ডিপো ট্যাংকলরী শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বগুড়া জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

মাস্ক এখন যে কারণে জরুরি
শেখ আনোয়ার

বন্ধ করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম

বসার জায়গা নেই নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার অফিসে: ভবন নির্মাণের দাবীতে দলিল লিখকরা

রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী

করোনার উৎস ভারত-বাংলাদেশ, দাবি চীনা বিজ্ঞানীদের

বোয়েসেলের মাধ্যমে এক বছরে ১২ হাজার দক্ষ কর্মী নেবে জর্ডান

বাংলাদেশে মূর্তি সংস্কৃতির স্থান হবে না – ছাত্র মজলিস সভাপতি

নারায়ণগঞ্জে উদ্যোক্তা উৎসব অনুষ্ঠিত

© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২০ প্রথমা টিভি
Theme Developer Hostcell
Translate »