নারায়ণগঞ্জ রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের আঙ্গিনায় দলিল লিখকদের বসার দাবীতে নতুন ভবন নির্মাণর আহ্বান জানিয়ে আসছিল নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লিখকরা। এই দাবীর প্রেক্ষিতে ১৮ আগষ্ট বেলা ১১টায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (মহাপরিদর্শক) শহীদুল আলম ঝিনুক নারায়ণগঞ্জ রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে দলিল লিখকদের বসার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। মহা পরিদর্শকের আশ্বাসে নারায়ণগঞ্জের দলিল লিখকদের তিনটি সমিতির নেতৃবৃন্দ আশার প্রহর গুনছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ জিয়াউল হক, নারায়ণগঞ্জ সদর দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কলিম উল্লাহ, ফতুল্লা দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (মহাপরিদর্শক) শহীদুল আলম ঝিনুককে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সম্পূর্ণ আঙ্গিনা সুদৃঢ়ভাবে দেখান এবং আর্থিক নিরাপত্তাসহ কার্য সম্পাদনের জন্য খালি জায়গার মধ্যে দলিল লিখকদের বসার ব্যবস্থার জন্য জোর তাগিদ দেন। এ সময় শহীদুল আলম সবকিছু ঘুরে দেখে সমিতির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত বসার জন্য ব্যবস্থা করবেন বলে আশ^স্ত করেন এবং তিনি মন্ত্রী মহোদয় ও সচিবদের সাথে পরামর্শ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে সবাইকে অবগত করেন। তিনি রেকর্ডরুম পরিদর্শন করে বলেন নারায়ণগঞ্জ রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে কোন ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করারও হুমকী দিয়ে সতর্ক বার্তা দেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ সময় জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব রেজিস্ট্রার সহ কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার এই কথায় চুপসে যান।
উল্লেখ্য সাংবাদিকরা মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক ও জেলা রেজিস্ট্রার জিয়াউল হকের বক্তব্য নিতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে মহাপরিদর্শকের আশ্বাসে দলিল লিখকরা আশ্বস্ত হলেও উপর মহলের সিদ্ধান্তের বিষয় নিয়ে তারা চিন্তিত। কিন্তু ২০১৪ সালের সরকারি প্রজ্ঞাপন ও দলিল লিখকদের লাইসেন্স এর পাতায় দলিল লিখকদের বসার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যার দরুন দলিল লিখকরা আন্দোলনে যাচ্ছে। বর্তমানে দলিল লিখকরা সরকারি নিয়ম নীতি এবং প্রজ্ঞাপন সহ আইন মন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন চায়।