তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। নিজের যেমন গরমে বাড়তি যত্ন নেন, তেমনি শখের বাইকেরও যত্নের প্রয়োজন। অত্যধিক গরমে বাইক চালানো কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। অসতর্ক হলেই মুহূর্তে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। তাই গ্রীষ্মকালে বাইক-স্কুটারের ওপর বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। বিশেষ ভাবে কয়েকটি পার্টস যেমন টায়ার এবং ফুয়েল ট্যাংক।
বেশি রোদে বাইক পার্ক করে রাখবেন না। হালকা রঙের কাপড়ে বাইক ঢেকে রাখুন। দীর্ঘ যাত্রার জন্য পর্যাপ্ত বিরতি নিন। দেখে নিন গরমে বাইকের কীভাবে যত্ন নেবেন-
বাইকের কুল্যান্ট
গরমের সময় বাইকের কুল্যান্ট ঠিক আছে কি না দেখে নিন। কুল্যান্ট হলো এক ধরনের তরল যা বাইকের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যানবাহনের জন্য কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে এই পদ্ধতি। অ্যান্টিফ্রিজ এবং পানির মিশ্রণে তৈরি এই তরল গরমকালে বাইক সুরক্ষিত রাখে।
ইলেকট্রিক পার্টস
গরমের দাবদাহে এসে বাইকের ইলেকট্রিক পার্টস ক্ষতি হতে পারে। কমিউটার মোটরসাইকেল হোক অথবা স্পোর্টস বাইক সব রকম টু হুইলারে থাকে একাধিক ইলেকট্রিক পার্টস। তাই রাইড করার সময় অতিরিক্ত ফিউজ সঙ্গে রাখতে পারেন।
টায়ার
গরমকালে টায়ার প্রেশার সাধারণ সময়ের থেকে একটু কম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাইকের চাকায় যদি বাতাসের বেগ বেশি থাকে তাহলে তা গরমকালে ফেটে যেতে পারে। হাই স্পিডে বাইক চালানোর সময় যেহেতু চাকা সরাসরি রাস্তার সংস্পর্শে আসে তখন অত্যধিক হিট তৈরি হয়। তাই সাবধান না থাকলে টায়ার ক্ষতি হতে পারে এবং বাইক স্কিড খেয়ে যেতে পারে।
ফুয়েল ট্যাংক
এসময় ফুয়েল ট্যাংকের দিকে বাড়তি নজর দিন। মনে রাখতে হবে, গরমের সময় ফুয়েল ট্যাংক সম্পূর্ণ ভরা উচিত নয়। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে পেট্রল কিংবা ডিজেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে ফুয়েল ট্যাংক ভরা থাকলে জ্বালানি উপচে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গরমকালে ফুয়েল ট্যাংক অর্ধেক অথবা চার ভাগের তিন ভাগ ভরার চেষ্টা করুন।
চেইন লুব্রিকেট
গরমের সময় বাতাসে ধুলাবালি একটু বেশি থাকে। তাই কিছুদিন পর পর বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব্রিকেট করার পরামর্শ দেয় বিশেষজ্ঞরা। এটি করার ফলে বাইক আরও মসৃণ ভাবে চালানো যায়। লুব্রিকেটিং করার আগে বাইকের সব মোটর পার্টস অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, টাটা ক্যাপিটাল
লাইফস্টাইল মডেল: আফিয়া রোজা