মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, দেশকে অসত্য ও গুজব মুক্ত করতে পারলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তির কোনো জায়গা হবে না। কারণ এ অপশক্তি কেবল অসত্য ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। তিনি বলেন, এই অপশক্তি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও জয়বাংলাসহ সব সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ঢুকিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা এটা করছে। সরকারি দলের সদস্য চয়ন ইসলামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বই অপপ্রচার ও গুজব নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশনকে আগামী-দিনের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে আমরা নিজেরা আক্রান্ত। আমরা সবাই এ বিষয়ে অবগত আছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অংশীজনের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে গুজবকে প্রতিহত ও ডিস-ইনফরমেশনকে আটকে দেওয়া সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, শিগগির একটি জায়গায় যেতে পারবো। যাতে এদেশে অবাধ তথ্যপ্রবাহ হয় আবার মিস-ইনফরমেশনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারি।’ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রশ্নে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনো কখনো এটার মধ্যে অনিশ্চিয়তা থাকে।
আমরা বলতে পারছি না, সবসময় ইতিবাচক পোস্ট দেবে কী না। কাজেই এটা জানাটা খুবই জরুরি। কোন উৎস থেকে এটা খোলা হয়েছে। বলেও দেওয়া আছে এ ধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট অনুমতি ছাড়া খোলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এগুলো বন্ধ করার মত সক্ষমতা নেই। আমরা এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবো। স্বরাষ্ট্র, আইন ও আইসিটি বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা সমাধান বের করবো। যাতে এ ধরনের সুযোগ আর ভবিষ্যতে তৈরি না হয়।’