‘হাসি ফুটুক সবার মুখে’ এই স্লোগান সামনে রেখে ভালোবাসা দিবসকে একটু ব্যাতিক্রম ভাবে পালন ও গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে হাসিমুখ পথশিশুদের নিয়ে সারাদিনব্যাপি বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করে। ইভেন্ট গুলোর মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, বাচ্চাদের ব্লাড গ্রুপিং, সাংস্কৃতিক আয়োজন, ম্যাজিক শো এবং শিক্ষা ও স্বাস্থগত দিক নিয়ে সচেতনতা তৈরি অন্যতম।
হাসিমুখ ফাউন্ডেশন এর শুরুতে কয়েকজন বন্ধু মিলে ২০১৭ সালে নিজেদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে নতুন প্রজন্ম (পথশিশুদের) কে খাবার বিতরনের মাধ্যমে। হাসিমুখ : শিশুমেলা ” ইভেন্টের পথচলা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে শহরের সুবিধাবঞ্চিত ও পথ শিশুদের নিয়ে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে পালন করা হয়। জাতীয় সংগীতের পর প্রতিযোগিতামুলক বিভিন্ন খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, ম্যাজিক শো সহ নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করন ও নৈতিক কাজকর্ম নিয়ে তাদের মানুষিকতা তৈরির জন্য সচেতন করা হয় এবং কেক কাটার মাধ্য্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। বাচ্চারা সারাদিন আনন্দে কাটানোর পর খুশিমনে বাড়িতে যায়।
ইভেন্ট সমন্বয়ক আশিক বিন আমির জানান, ‘প্রতিবছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হাসিমুখের এই আয়োজনের জন্য এখানকার বাচ্চারা অপেক্ষা করে, সারাদিন আনন্দে কাটায় এবং অনেক কিছু শিখতে পারে। প্রতিবছর আমরা এই আয়োজন পালন করবো, এবং অন্যদের উদ্দেশ্যে বলেন সবাই যদি এরকম উৎসবের দিন গুলো তে ভিন্ন কিছু আয়োজন করে তবে একদিনের জন্য হলেও অনাহারির মুখে ভালো খাবার উঠবে’। অংশগ্রহনকারীরা সকলের এক বেলা খাবার, ৩ মাসের শিক্ষা সামগ্রী এবং উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত আয়োজনটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় পালিত হয়। এদিন ঢাকায় প্রায় ১৩০ জন বাচ্চাকে নিয়ে এবারের “হাসিমুখ : শিশুমেলা” উদযাপিত হয়েছে। আগামীতে এই সকল সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে সারা বছর ধরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে কাজ করার বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে হাসিমুখ ফাউন্ডেশনের। হাসিমুখ একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। দেশের অনগ্রসর ও সুবিধা-বঞ্চিত দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মমুখী কল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের এই ফাউন্ডেশন। হাসিমুখ সামাজিক দারিদ্র্য বিমোচন সহ ১১ টি পরিকল্পিত লক্ষ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।